Lapidary

Lapidary

IFA MIG 21

About MIG-21 Fighter Jet

মিগ ২১ একটি যুদ্ধবিমান। মিকোয়ান ডিজাইন ব্যুরো মিগ ২১ বিমানের নকশা তৈরি করে। এর ন্যাটো কোডনেম ফিসবেড। মিগ ২১-এর জন্ম হয় সোভিয়েত ইউনিয়নে। এটি ইতিহাসে সর্বাধিক নির্মিত ফাইটার জেট। এটি মালালাইকা নামে অধিক পরিচিত ছিল।

এর পূর্বসুরি মিগ ১৯, যা ছিল মূলত গ্রাউন্ড এট্যাক ফাইটার। ১৯৪৮-৪৯ সালে সোভিয়েতরা মিগ-১৭, মিগ-১৯ এবং সুখোই-৭ এর সমন্বয়ে একটা সুপারসনিক ফাইটার বিমান তৈরির ডিজাইন সম্পন্ন করে। মিগ-২১ এর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পরে সোভিয়েতরা বুঝতে পারে যে ফাইটার অনুপাতে ইঞ্জিনের ক্ষমতা কম তখন এই ঝামেলা সারিয়ে তৈরি করা হয় আরেকটি প্রটোটাইপ। এই প্রটোটাইপও ডানার ঝামেলার কারণে বিফল হয়। একই অবস্থায় পড়ে তাদের টেস্টিং প্রটোটাইপও। অবশেষে ১৬ জুন ১৯৫৫ সালে সর্বশেষ প্রটোটাইপ চূড়ান্তভাবে বানানোর অনুমতি পায়, এবং এই ফাইটার সার্ভিসে আসে ১৯৫৯ সালে। পরে সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান বাহিনী বহরে এই বিমান যুক্ত করা হয়। ১৯৫৯ সালের আগে এটি নিয়ে মার্কিন মুল্লুক কিছুই জানতো না, কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধে তারা এটা সম্পর্কে জানতে পারে।

মিগ ২১ একটি সুপারসনিক ফাইটার। এটি আকাশ থেকে থেকে আকাশে, আকাশ থেকে মাটিতে সবদিকেই কার্যকরি। মিগ ২১-এর আছে শক্তিশালী ইঞ্জিন ও হালকা বডি। এছাড়া উন্নত ম্যানুয়েভার পাওয়ার এই ফাইটারকে অন্যসব ফাইটারগুলো থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। মিগ ২১-এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশ কম। এই বিমানের জন্য আলাদা শেড-এর দরকার হয় না। খোলা আকাশের নিচে এই বিমান ফেলে রাখা যায়।

১৯৫৯ সালে সার্ভিসে আসার ৫০ বছর পরেও মিগ ২১ এবং চীনা সংস্করণ জে-৭ / এফ-৭ এয়ারগার্ড বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রধান কারণ এর উন্নত সংস্করণ। এই ফাইটার-এর বডি বাদে মোটামুটি সব পার্টসই কম-বেশি উন্নত হয়েছে। আর এই আপগ্রেডেশন এই ফাইটারকে আধুনিক রাখতে সাহায্য করেছে।

  • পাইলট: ১ বা ২ জন
  • দৈর্ঘ্য: ১৪.৫ মিটার
  • উচ্চতা: ৪.১২৫ মিটার
  • বোঝাই অবস্হায় ওজন: ৮,৮২৫ কেজি
  • শক্তির উৎস:
  • সর্বোচ্চ গতিসীমা: ঘণ্টায় ২,৩৫০ কিলোমিটার(ঘণ্টায় ১,৪৬৮ মাইল)
  • পাল্লা: ১,২১০ কিলোমিটার
  • https://bn.wikipedia.org/

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *